আবার তুমি আসবে কবে

আবার তুমি আসবে কবে?
হাস্নাহেনার মাতাল ঘ্রাণে, শুক্লা তিথির শ্মশান প্রাণে, ঝিঁঝিঁ পোকার কলরবে?

বলো, আমার তুমি আসবে কবে?
ধোলুই ভরা মরুরবুকে, দূর নীলিমার ঈশান কোণে, বৃষ্টির দেখা পাবে যবে?

বলো, বলো আবার আসবে কবে?
অভিশারের ক্রান্তি কালে, চোখের উপর হাতটি ধরে, ওষ্ঠপাড়ের চৈত্র রেখা আবার তুমি ভিজিয়ে দেবে?

Quote

অবহেলার দান

কোন একদিন, অবহেলা দিয়েছ যত পাঠাবো ফেরত,
কড়ায়-গন্ডায় দ্বিগুন করিয়া সব তোমারই মারফত।

দেখবে সেদিন সাগর অতল পানিও তৃষ্ণায় থর থর কাঁপবে,
অক্সিজেনও ভুগবে নিদারুণ এক শ্বাসকষ্টে আমার অভিশাপে।

ক্ষুধা, জ্বালা, অপমান, অবহেলা আর ঘৃণায় রাশভারী মর্মকষ্টে,
মেনে কি নেবে আমার মত সব, যাহা আছে কপালের অদৃষ্টে?

(সংক্ষেপিত)

দগ্ধ ভারী অনিল

দুঃখীর ঘরে বিষাদের বাসা, নিত্য নতুন ভোরে,
পুরোনো শোকের নতুন প্রলাপ সইবো কেমন করে?

তপ্ত মরু, স্তব্ধ পিরামিড, ঈশান ধেয়ে আসা দগ্ধ ভারী অনিল,
তিলে তিলে জমা ঘৃণার তেজস্ক্রিয়তা, হৃদয় আজ শ্মশান চেরনোবিল।

কত? আর কত? বলো,
ঠিক কত খানি উত্তাপে ওই সূর্য পুড়ে যায়?
আর কতটুক অবহেলা পেলে নজরুল হওয়া যায়?

Status

শুকনো ফুলের কলি

শুঁকিয়ে গিয়েছে ফুলগুলি মোর রয়েছে পড়ে ফুলদানি,
চৈত্রে পোড়ে ঝরেছে পাতা, ঠায় দাঁড়িয়ে গাছ খানি।

শুক্লা তিথির অস্ত কালে আজি পূর্ণিমার ঝলকানি,
ভালো লাগা সব গেছে হারিয়ে ক্লান্ত অলস এ মন খানি।

ভরা জোৎস্না করে টলমল রূপেতে ভীষণ ঝলকানি,
তাহার আলোয় মন ভুলেনা, দেয়না আজ আর উস্কানি।

আর যদি না আসি ফিরে

আর যদি না আসি ফিরে,
সবুজ ঘেরা তোদের নীরে।

ঘাস ফড়িংয়ের সঙ্গ দিতে,
শাপলা গোলাপ পদ্ম নিতে।

শিশির ভেজা ধানের শীষে,
তুলসী মলার গন্ধে মিশে।

আর যদি না আসি ফিরে,
পাড়ার ছেলের দলে ভিড়ে।

খেলার মাঠের সঙ্গী হয়ে,
ডেঙ্গি নায়ের বৈঠা বয়ে।

ফিরতে বাড়ি সাঁঝের বেলায়,
খেলা শেষে হেলায় ফেলায়।

ভুলবি কি তাই বন্ধু আমায়,
আর যদি না ফিরে তাকায়?